২৫শে জুন, ২০২৩ইং
“নাঈম আহমেদ জুলহাস”
ঢাকা: সরকারের কাছে পাওনা প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা না পাওয়ায় এবং পাওনা আদায়ের সময়সীমা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের বেসরকারিভাবে নন ইউরিয়া সার আমদানীর টেন্ডারে অংশ নেননি কোন আমদানীকারক।
এ ধরণের ঘটনা দেশে এবারই প্রথম। সমস্যার দ্রুত নিরসন না হলে দেশে সারের সরবরাহ নিয়ে যথেষ্ট দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, সরকার দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি আমদানীকারকদের মাধ্যমে নন ইউরিয়া সার আমদানী করে থাকে। টেন্ডারের মাধ্যমে ওই সার দেশে আনার পরে তিন মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধ করা হয়। তবে গত বছরগুলোতে সরকার আমদানীকারকদের পাওনা সময়মতো পরিশোধ করতে পারেনি। এমনকি গত ১৪ মাস আগের বকেয়াও এখনও পাবেন আমদানীকারকরা।
আমদানীকারকরা জানান, সরকারের কাছে আমাদের পাওনা প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা। তিন মাসের মধ্যে পাওনা পরিশোধের কথা থাকলেও ১৪ মাসেও টাকা পাইনি। কবে পাবো সেটাও কেউ বলতে পারছেন না, এক কথায় পাওনা আদায়ে অনিশ্চয়তা। এর মধ্যেই কৃষি মন্ত্রণালয় নতুন টেন্ডার আহ্বান করেছেন।
বেসরকারি সার আমদানীকারক মেসার্স শেখ ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচাল মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, টেন্ডারের মাধ্যমে সরকারি কার্যাদেশে আমার প্রতিষ্ঠান এমওপি, ডিএপি, টিএসপি আমদানী করেছে। এখনো বকেয়া প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। তিন মাসে পরিশধের কথা থাকলেও গত ১৪ মাসেও টাকা পাইনি। ব্যাংক সুদ বেড়েই যাচ্ছে, এভাবে চলতে থাকলে ঋণ খেলাপি হয়ে যাবো। তারপরেও এই মুহুর্তে ডলার সংকট, ব্যাংকও এলসি খুলতে রাজি হচ্ছে না তার মধ্যেই মন্ত্রণালয় নতুন টেন্ডার কল করেছে, তাহলে আমরা কিভাবে অংশ নেবো? যেখানে টাকা পাওয়া অনিশ্চিত সেখানে ব্যবসায়ীরা কিভাবে ব্যবসা করবে?