২০শে অক্টোবর, ২০২১ইং।
“নাঈম আহমেদ জুলহাস”
ঢাকা : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ছয় ঋতু এখন আর আগের মতো নেই, কমেছে শীতকালের স্থায়ীত্ব। হেমন্তেও নেই শীতের আমেজ। উল্টো অক্টোবর-নভেম্বর মাসে তাপমাত্রা বেড়েছে ১.৮ ও ১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, অক্টোবরে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শীতের অনুভব হচ্ছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভূমি ও সমুদ্রের উষ্ণতার যে পার্থক্য তৈরি হয়েছে তাতে আগের মত আর শীতকালের দেখা মিলবে না।
জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় কারণ কার্বণ নিঃসরণ। উন্নত দেশগুলো তাদের চাহিদা মেটাতে গিয়ে অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের কারণে ক্ষতির মুখে অনুন্নত দেশগুলো।
প্রতি বছর নিঃসরিত কার্বনের মধ্যে একা চীনই নিঃসরণ করে ২৯ দশমিক ১৮ শতাংশ কার্বন। যুক্তরাষ্ট্র ১৪ দশমিক ০২ শতাংশ, ভারত ৭ দশমিক ০৯ শতাংশ, রাশিয়া ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
জাপান ৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ কার্বণ বাতাসে ছাড়ে। বাংলাদেশের কার্বণ নিঃসরণের হার শূণ্য দশমিক ২১ শতাংশ কিন্তু কার্বণ নিঃসরণের ফলে সৃষ্ট বিপর্যয়ের বড় শিকার বাংলাদেশ।
কার্বণ নিঃসরণের ফলে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পৃথিবী। ১৮৫০ সালের পর থেকে ২০০০ সালে মধ্যে পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়েছে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হচ্ছে না। অসময়ের বৃষ্টি বাড়ছে। আর এর ফলে ক্ষতির মুখে বাংলাদেশসহ কৃষিভিত্তক দেশগুলা। ভূমি ও সমুদ্রপৃষ্ঠের মধ্যে তাপমাত্রার পার্থক্য কমছে।
কমেছে রাত আর দিনের তাপমাত্রার পার্থক্যও। তাপমাত্রার বৃদ্ধি দুই ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার প্রতিশ্রুতিও রক্ষা করা যাচ্ছে না।