১৩ই অক্টোবর, ২০২১ইং।
“নাঈম আহমেদ জুলহাস”
ঢাকা : জলবায়ুর ওপর মানুষের নেতিবাচক প্রভাবের ধারণা মিথ্যা নয়। তাদের হাতে বিশ্ব উত্তপ্তকারী বিপজ্জনক গ্যাস নির্গমন অব্যাহত থাকলে চলতি শতাব্দীর শেষ দিকে সামুদ্রিক পানির উচ্চতা দুই মিটার পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সম্প্রতি জাতিসংঘের বিজ্ঞানীদের একটি মাইলফলক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। খবর বিবিসির। সংস্থাটির জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তঃসরকার প্যানেল (আইপিসিসি) সামারি ফর পলিসি মেকার নামে ৪২ পৃষ্ঠার একটি মূল্যায়নপত্র তৈরি করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী মাসগুলোতে আরও কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। ২০১৩ সালের পর জলবায়ু পরিবর্তন পর্যালোচনা সংক্রান্ত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হচ্ছে এটি, যা গ্লাসগো জলবায়ু সম্মেলনের (সিওপি২৬) মাত্র তিন মাস বাকি থাকতে সামনে আনা হলো।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আজকের আইপিসিসি ওয়ার্কিং গ্রুপ ১ প্রতিবেদন মানবতার জন্য লাল সংকেত। আমরা যদি এখনই সব শক্তি একত্রিত করি, তাহলে জলবায়ু বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব। প্রতিবেদন এটি পরিষ্কার করে দিয়েছে যে, দেরি করার মতো সময় নেই আর কোনো অজুহাতেরও জায়গা নেই। আমি সিওপি২৬ সফল করার জন্য সব সরকারের নেতা ও অংশীদারের ভরসায় রয়েছি।
আইপিসিসির প্রতিবেদনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
১৮৫০ থেকে ১৯০০ সালের তুলনায় ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ২০১১ থেকে ২০২০ সালে ১.০৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। ১৮৫০ সাল থেকে গত পাঁচ বছর পৃথিবীর তাপমাত্রা ছিল ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ১৯০১ থেকে ১৯৭১ সালের তুলনা করলে সাম্প্রতিক সামুদ্রিক উচ্চতা বৃদ্ধির হার প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। ১৯৯০-এর দশক থেকে হিমবাহ ধস ও অ্যান্টার্কটিকায় সামুদ্রিক বরফ কমে যাওয়ার প্রধান কারণ (৯০ শতাংশ) মনুষ্য প্রভাব।১৯৫০-এর দশক থেকে দাবদাহসহ গরমের প্রবণতা আরও নিয়মিত ও তীব্র হয়ে উঠেছে, সে তুলনায় ঠান্ডাজনিত ঘটনা ক্রমেই কম নিয়মিত ও কম তীব্র দেখা যাচ্ছে।