২১শে আগষ্ট, ২০২১ইং।
নিজস্ব প্রতিবেদক।
“সংযোগ নিউজ”
ঢাকা : রঞ্জুর নেতৃত্বে শেখ হাসিনার বহরে হামলা: ডিবি সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলায় ছাত্রদলের তৎকালীন নেতা আরিফুর রহমান রঞ্জু নেতৃত্ব দেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার শনিবার এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন।
রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় রঞ্জুকে। শনিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে ব্রিফিং করা হয়।
ডিবি প্রধানের দায়িত্বে থাকা ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, আরিফুর রহমান রঞ্জু দুই দশক আগে সাতক্ষীরার কলারোয়া থানা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার নেতৃত্বেই ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনার বহরে হামলা হয়।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, সে সময়ের বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে গিয়েছিলেন কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামে ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে।
সড়কপথে যশোরে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ডিবি জানায়, সাতক্ষীরার এ হামলার ঘটনায় সে সময় হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরকদ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা হয়।
ঘটনার ১৯ বছর পর গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার একটি আদালত ৫০ জনকে নানা মেয়াদে সাজা দেয়। এ মামলার অন্যতম সাজাপ্রাপ্ত আসামি আরিফুর রহমান রঞ্জু।
ডিবি আরও জানায়, গ্রেপ্তার রঞ্জুর দাদা প্রয়াত মাহবুবুর রহমান ছিলেন মুসলিম লীগের নেতা। তিনি খান এ সবুরের সহযোগী ছিলেন। ১৯৭১ সালে তার পরিবার মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল।
রঞ্জু ১৯৯৩ সালে কলারোয়া সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে সদস্য নির্বাচিত হন। একই বছর তিনি ছাত্রদলের কলেজ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হন।
১৯৯৮ সালে কলারোয়া থানা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হন রঞ্জু। ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি এ পদে ছিলেন।
হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১৫ আসামি পলাতক
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় এরই মধ্যে রায় হয়েছে। ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বিএনপির সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিব, ছাত্রদল নেতা আরিফুর রহমান ওরফে রঞ্জু ও রিপনকে। যুবদল নেতা আব্দুল কাদের বাচ্চুকে দেয়া হয় নয় বছরের কারাদণ্ড। বাকি ৪৬ জন আসামিকে চার বছরের কারাদণ্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।