Breaking News

পাঠ্যপুস্তকে কালোবাজারি কোটি টাকা আত্মসাৎ 

Stay with Us
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

মোস্তাক আহমেদ             নিজস্ব প্রতিবেদক। 

অক্টোবর ২৩, ২০২০ইং।

ঢাকা : সারাদেশ করোনা মহামারীতে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও নতুন বই কেনার হিড়িক পড়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের এই নতুন পাঠ্যপুস্তক কেনার ক্ষেত্রে আনন্দ উল্লাসের কমতিনেই। তবে কখনো কখনো এ আনন্দ ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের কাছে কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায় অভিবাবকরা যখন অর্থের দিক থেকে টানাপোড়নে থাকেন।

এদিকে প্রত্যেক বছর সকল পাঠ্যপুস্তকে ৩০% হতে ৪০% শতাংশ পর্যন্ত ছাড় থাকলেও বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির পরপর নতুন পাঠ্যপুস্তকে কোন ছাড় দিচ্ছে না পাঠ্যপুস্তকে প্রস্তুতকারী প্রকাশনী গুলো।
তাই অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করছে বলে জানা যায়। করোনা কালীন লকডাউনে সাধারন অভিভাবকরা প্রচুর আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত। যেখানে ৮মাস যাবত কোনো স্কুলে কোনো ক্লাসই নেন নাই, ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে স্কুল খোলা হবে কিনা তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু এখন এই অনলাইন টেষ্টের অজুহাত দিয়ে প্রতি ষ্টুডেন্টের কাছে ৮মাসের সম্পুর্ন বেতন কিভাবে দাবী করে স্কুল কর্তৃপক্ষ! শুধু তাই নয় মাসের বেতন মাসেই পরিশোধ না করলে গুুনতে হয় জরিমানা।
একজন অভিভাবক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান প্রত্যেক বছর ছেলেমেয়েদের বই-পুস্তক কিন্তু আমরা একটি বিশেষ ছাড় পেয়ে থাকি কিন্তু বর্তমান মহামারীর পরিস্থিতিতে সবার অবস্থা খুব খারাপ এই অসহায়ত্বের মাঝে আর পারছিনা সন্তানদের লেখা পড়ার যোগান দিতে।
হিমশিম খাচ্ছি। না পাচ্ছি সরকারিভাবে কোন সুবিধা না পাচ্ছি বেসরকারি। এদিকে তারা আরো বলে সরকার অনেক প্রণোদনা অনেক সাহায্য সহযোগিতা করেছে তবে এই সাহায্য-সহযোগিতা শুধু সুবিধাভোগীরা পেয়েছে আমরা কোনো সহযোগিতা পাইনি বরঞ্চ আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। আমার বাসা ভাড়া বিদ্যুৎ বিল সবকিছুই পরিষদ করেছি বিদ্যুৎ বিলের কথাই যদি বলে বিদ্যুৎ বিল আগের তুলনায় আমরা করোনা কালীন সময়ে বেশি বিল পরিশোধ করতে হয়েছে। এখন আবার স্কুল-কলেজের চাপ তারা আমাদের কাছ থেকেই স্কুলের বেতন পরিশোধ করার জন্য চাপ দিচ্ছে তবে স্কুল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও আমাদের কাছ থেকে পানি গ্যাস বিদ্যুৎ সবকিছুর বিল বাবদ তারা পরিশোধ করার জন্য নোটিশ দিয়েছে।
এদিকে বই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বললে তারা জানায় যে বর্তমানে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি বছরের মতো নেই আমাদের সেল এবং সেই সেলের উপরে আমরা একটি বিশেষ ছাড় দিয়ে থাকি তবে করোনাকালীন সময় আমাদের বেচাকেনা কম থাকায় এবং প্রকাশনী কোম্পানিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তকে কোন প্রকারের ছাড় দিতে পারছিনা।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে ফারুক আহমেদ নামের এক অভিভাবক জানায় পাঠ্যপুস্তক নীতিমালায় যদি কঠোর ব্যবস্থা নিতেন সরকার তাহলে হয়তো এই পরিস্থিতিতে আমাদের পড়তে হতো না আমরা বর্তমানে পাঠ্যপুস্তকে প্রকাশনীগুলো যে মূল্য নির্ধারণ করেছে বিশেষ কোনো ছাড় না থাকাতে আমরা কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছি। বিগত দিনে আমাদেরকে ৩০ হতে ৪০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে বর্তমানে এটা দিচ্ছে না। সরকারের এই দিকে নজর দেওয়া উচিত আর যদি সরকার এদিকে সুদৃষ্টি না দেয় একশ্রেণীর কালোবাজারিরা এই পাঠ্যপুস্তক এর বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে নিবে বলে আমি মনে করি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •   
  •   
  •  

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *