আগষ্ট ২৫, ২০২০ইং।
নিজস্ব প্রতিবেদক।
ঢাকা : মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইডি) পরীক্ষা এবার না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হবে। এ বছর কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় বৃত্তি দেয়া হবে না, তবে উপবৃত্তি দেয়া হবে। এ সংক্রান্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার দুপুরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না। এজন্য এ বছর সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা বাতিল করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি সারসংক্ষেপ পাঠাই। তাতে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন। মঙ্গলবার সেটি আমাদের হাতে এসেছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বছর কেন্দ্রীয়ভাবে সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা নেয়া না হলেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে।’
তবে স্কুল খোলা সম্ভব হলে পঞ্চম শ্রেণি ছাড়া অন্যান্য ক্লাসের পরীক্ষাগুলো নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়ার সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা বাতিলে গত ১৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়। এ নিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের উপস্থিতিতে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর ভিত্তিতে একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়।’
সচিব বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খোলা হবে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দীঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রাথমিকের জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিকে (নেপ) পাঠক্রমের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে প্রস্তাব দিতে বলা হয়। তারা সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর বিদ্যালয় খোলা হলে কতটুকু পড়ানো হবে সে বিষয়ে প্রস্তাব পাঠায়।’
সচিব আরও বলেন, ‘যেহেতু সেপ্টেম্বরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না তাই মঙ্গলবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল সভা করে পরবর্তী দুটি প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে।’
আকরাম আল হোসেন বলেন, ‘এ বছর কেন্দ্রীয়ভাবে সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব না হওয়ায় পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি প্রদান করা হবে না, তবে নিয়মিত কার্যক্রম হিসেবে উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। আগামী বছর পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হলে আবারো বৃত্তি কার্যক্রম শুরু করা হবে।’