০৪ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯. সংযোগ নিউজ।
ঢাকা : ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার দায়ের করা মামলার তথ্য ‘মিথ্যা’। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে তা প্রমাণিত হওয়ায় উল্টো নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এস কে সিনহাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে দুদক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান বলেছেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করার অভিযোগে এবার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধেই মামলা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘‘এস কে সিনহার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগে নাজমুল হুদা একটি মামলা করেছিলেন। সেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। উনি তদন্ত প্রতিবেদন ‘ফাইনাল রিপোর্ট অ্যাজ ইন্টেনশনালি ফলস’ হিসেবে দাখিল করেছেন।”
মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৮(গ) (২) ধারায় মামলা করতে কমিশন অনুমোদন দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর এসকে সিনহার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জাতীয় জোটের (বিএনএ) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই অভিযোগে বলা হয়, একটি মামলা প্রথমে খারিজ করার পর রায় পরিবর্তন করা হয়। এই মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে নাজমুল হুদার কাছ থেকে ২ কোটি টাকা ও অন্য একটি ব্যাংক গ্যারান্টির আড়াই কোটি টাকার অর্ধেক উৎকোচ চেয়েছিলেন এস কে সিনহা।
অপরদিকে, ফারমার্স ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি করে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুদক।
দুদকের মহাপরিচালক এ বিষয়ে বলেন, ‘দুই ব্যক্তির নামে ৪ কোটি টাকার ভুয়া লোন সৃষ্টি করে নিজের অ্যাকাউন্টে এনে অর্থ আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে এস কে সিনহার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা ছিল। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন বেনজির আহমেদ। এই মামলাতে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।’
এই অভিযোগপত্রে ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, জানিয়ে তিনি বলেন, মামলার ১১ জন আসামির মধ্যে ব্যাংকটির গুলশান শাখার সাবেক ব্যবস্থপক মো. জিয়া উদ্দিন আহমেদ নামের এক আসামি মারা যাওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়।