Breaking News

‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ঘটনার জেরে হল ছাত্রলীগের ২৪ নেতাকর্মী বহিষ্কার

Stay with Us
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সংযোগ নিউজ ডেস্ক: কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হলের ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ঘটনার জেরে হল ছাত্রলীগের ২৪ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সোমবার রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের স্বাক্ষারিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাদেরকে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।

ওই রাতে মোর্শেদা খানম নামের যে ছাত্রীকে নির্যাতন করার গুজব রটে বহিষ্কৃতদের মধ্যে তিনিও রয়েছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে থাকা মোর্শেদা ছাত্রলীগের ওই হল শাখার সহ-সভাপতি ছিলেন।

বহিষ্কৃত যারা
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক খালেদা হোসেন মুন, সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোর্শেদা খানম, সহ-সভাপতি আতিকা হক স্বর্ণা, সহ-সভাপতি মিরা, সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতী আক্তার সুমি, সহ-সম্পাদক শ্রাবণী, আর্থ অ্যান্ড অ্যানভায়রনমেন্ট সায়েন্সের ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শারমিন আক্তার, চারুকলা অনুষদের উপ-তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আশা, নাট্যকলা বিভাগের লিজা, মিথিলা নুসরাত চৈতী, সুদিপ্তা মন্ডল, সঙ্গীত বিভাগের সোনম সিঁথী, প্রিয়াংকা দে ও প্রভা, নৃবিজ্ঞানের শারমিন সুলতানা, উর্দু বিভাগের মিতু, ভূ-তত্ত্ব বিভাগের শিলা এবং জাকিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মনিরা ও রুনা, শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের জুঁই, চারুকলা বিভাগের অনামিকা দাশ, বাংলা বিভাগের তানজিলা এবং সমাজকল্যাণ বিভাগের তাজ।

গত ১০ এপ্রিল দিবাগত গভীর রাতে হলে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেয়া ছাত্রীদেরকে মারধর এবং এক ছাত্রীর রগ কেটে দেয়ার গুজব ছড়ানো হয় সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশার বিরুদ্ধে।

এই ঘটনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে ছাত্রী এশাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তবে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ছাত্রলীগের করা কমিটির প্রতিবেদনের ওই ঘটনার কোনো প্রমাণ পায়নি। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এশার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় ছাত্রলীগ।  ফলে তিনি সংগঠনটির এই হল শাখার সভাপতি হিসেবে পুনর্বহাল হন।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানও জানান, এশা শুধু ছাত্রত্ব ফিরে পাবে না বরং সম্মানিত হবেন।

তদন্তে উঠে আসে, মোর্শেদা কাঁচের জানলায় লাথি মারার পর তার পা কেটে যায় এবং এটাকেই পুঁজি করে গুজব ছড়ানো হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেয়ায় এশা তাকে গালিগালাজ করেছেন বলে অভিযোগ করেন মোর্শেদা।

এই গুজব ছড়ানোর পর ছেলেদের বিভিন্ন হল থেকে কয়েক হাজার ছাত্র সুফিয়া কামাল হলে গিয়ে বিক্ষোভ করে। আর হলের ভেতরেও মেয়েরা তাকে ঘিরে ধরে লাঞ্ছনা করে।

পরে এশাকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে হল থেকে বের করে দেয়া হয়।  এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে দেয়া হয়।

এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি করে।  অনেকেই বলেন, এশার বিরুদ্ধে ছাত্রী নিপীড়নের অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে তার সাজা হবে।  কিন্তু এভাবে আপত্তিকর সাজা কখনও গ্রহণযোগ্য নয়।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •   
  •   
  •  

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *