Breaking News

ফাঁসরোধে প্রশ্ন প্রণয়নে যা ভাবছে মন্ত্রণালয়

Stay with Us
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সংযোগ নিউজ ডেস্ক:  পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসরোধে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর সহজে এবং সবচেয়ে বেশি ফাঁস হওয়া এমসিকউ পদ্ধতি একেবারেই বাতিলের চিন্তা করছেন কর্মকর্তারা।  প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রশ্নের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেই বিকল্প খুঁজছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এ কাজও শুরু করা হয়েছে। প্রযুক্তিবিদদের পরামর্শ নিচ্ছে মন্ত্রণালয়। প্রচলিত পদ্ধতিতে শিক্ষা বোর্ডে প্রশ্ন প্রণয়ন করে ছাপানো, সরবরাহ পর্যায়ে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের সংশ্লিষ্টতা থাকায় ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। চলমান এসএসসি পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলে আসছেন, আগে বিজি প্রেস থেকে ফাঁস হওয়া ছিলো সহজ। পরীক্ষার দুই মাস আগে প্রশ্ন ছাপা হয়। কিন্তু দুই মাস আগে ফাঁস হয় না, পরীক্ষার দিনই অভিযোগ উঠে।

বর্তমান প্রক্রিয়ায় কোনোমতেই প্রশ্ন ফাঁসরোধ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন। তিনি বলেন, আমাদেরকে নতুন কোনো পদ্ধতির কথা ভাবতে হচ্ছে, যেখানে প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ থাকবে না। সেজন্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

২০১৪ সালে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের পর তদন্ত কমিটি প্রশ্ন ফাঁস বন্ধে বেশকিছু সুপারিশ করেছিলো। এর মধ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশ্ন প্রণয়নের কথা সুপারিশ ছিলো।

কমিটির প্রধান ছিলেন সোহরাব হোসাইন। তিনি বলেন, সুপারিশে ইন্টারনেট অন্তর্ভুক্ত ছিলো। কেন্দ্রে ইন্টারনেট নিশ্চিত না হওয়ায় এই পদ্ধতিতে যেতে পারছি না।

নতুনভাবে প্রশ্ন প্রণয়ন ও সরবরাহ নিয়ে তিনি বলেন, নতুনভাবে প্রণীত প্রশ্ন হবে অটোমেটেড। আমরা সবার কাছ থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করবো। কমিটি প্রশ্নের মান যাচাই করবে। এরপর প্রশ্ন ব্যাংক হবে, যেন সেখানে সব মানের প্রশ্ন থাকে।

এই পদ্ধতিতে গোপনীয়তা নিশ্চিত হবে জানিয়ে সচিব বলেন,  যিনি অ্যাডমিনিস্ট্রেটের দায়িত্বে থাকবেন তিনিও জানবেন না কী সেটে প্রশ্ন হবে। এটা হয়তো পরীক্ষার ১৫ মিনিট আগে প্রশ্ন প্রণয়ন হতে পারে। এটি বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে প্রতিটি পরীক্ষা কক্ষে স্ক্রিন থাকবে। পরীক্ষা শুরুর সময় অর্থাৎ ১০টায় সেটি ওপেন হবে, এতে প্রশ্ন ছাপানোরও প্রয়োজন নেই। পর্দায় দেখে দেখে পরীক্ষা দেবে শিক্ষার্থীরা। এটি বাস্তবায়ন করতে পারলে প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ থাকবে না।

 শিক্ষাসচিব বলেন, এই পদ্ধতির বাস্তবায়ন করতে গেলে যে বিশাল সংখ্যার কেন্দ্র সংখ্যা এবং কেন্দ্রের বর্তমানে যে পরিস্থিতি সেটা এখনও ওই পর্যায়ে বাস্তবায়নে যেতে পারিনি। তবে একটা প্রস্তাবনা-পেপার তৈরি করছি। আশা করছি সবাই মিলে বসলে একটা সমাধান আসবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ২০১৪ সালের ওই প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য তিন চারটি কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। কেন্দ্রে কীভাবে প্রশ্ন ছাপানো যায় সেটি বিশেষ দায়িত্ব ছিলো। কিন্তু লজিস্টিক সাপোর্ট, নিরাপত্তা কীভাবে থাকবে- এসব বিষয় বিবেচনার জন্য বুয়েট অধ্যাপক ড. কায়কোবাদকে নিয়ে কমিটি করা হয়েছিলো। এ বিষয়ে ড. কায়কোবাদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কমিটি কাজ শুরু করেনি। ভ্যাকেশনের পর কাজ শুরু করবে।

এছাড়া বর্তমানের বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে প্রশ্নের প্যাকেটের নিরাপত্তা জোরদারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান সচিব। তিনি বলেন, যদি কেন্দ্র কমিয়ে আনা যায় তাহলে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রতি বিষয়ের জন্য একটি প্যাকেট হবে। সিলগালা খুলে আবারও লাগানো যায়। সিলগালা নয়, এমন টেপ ব্যবহার করা যায় কি-না, যে টেপ খুললো আর লাগানো যাবে না।

এমসিকিউ নিয়েও বিকল্প ভাবছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা সচিব বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের পেছনে এমসিকিউ প্রধান কারণ। এমসিকিউ অন্য উপায়েও নেওয়া যেতে পারে। সে রকম ভাবতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপারে এসএসসি ও এইচএসসির ফলের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এমসিকউ’র কারণে নম্বর তোলা সহজ হয়। আমার মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ব্যাপারেও চিন্তার অবকাশ রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •   
  •   
  •  

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *